ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ বাহারছড়ায় প্রকাশ্য চলছে বন্য প্রাণী শিকারে মহড়া

hati...জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী :::

 বাংলাদেশের সর্বদক্ষিন সীমানা অবৈধ জোন খ্যাত কক্সবাজার জেলার অন্যতম উপজেলা টেকনাফ। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে অভরাণ্য পাহাড়ী অঞ্চলের অতন্দ্র প্রহরী এদেশের বন্যপ্রাণী। তারই মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য বনপ্রাণী হিসেবে রয়েছে হাতি। বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে বন্যপ্রাণীকে বাচাঁতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও আরকান সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরণের সাইনবোর্ড দিয়ে বন্যপ্রাণীকে বাচাঁতে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান। কিন্তু দেশের সর্বদক্ষিণ জোন খ্যাত টেকনাফের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মহলের এই কী ভিন্ন কান্ড দেশের মূল কান্ডারীর কথাকে কোন ধরনের গুরুত্ব না দিয়ে ঠিকই তার উল্টো করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। টেকনাফের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট হাতির দাত, লাল হরিণ, কালো হরিণ, বন মোরগ সহ বনের সৌন্দর্য্য বরধনের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে গত কয়েকমাস ধরে।

সরজমিনের পরিদর্শনে গত ২৩ এপ্রিল একটি বন্য হাতিকে গুলি করে দাত কেটে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়েছে বলে এলাবাসিদের অভিযোগ করেছে। কিন্তু তাদের এই কর্মকান্ড হাতে নেওয়ার পেছনে অগ্র ভূমিকা পালন করছে দেশীয় তৈরী বন্দুক। কিন্তু কিভাবে শিকার হচ্ছে এ বন্য প্রাণী একথা এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে এলাবাসীরা জানান আজ দুই তিন মাস ধরে প্রতি রাতে শিকার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বণ্য প্রাণী। শিকারীরা রাতের অন্ধকারে দেশীয় তৈরী অস্ত্র সু-কৌশলে বন্য প্রাণী শিকার করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গভির রাত্রে এলাকাতে আতংক সৃষ্টি করে দেয় বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ করেন। টেকনাফের শামলাপুরের মোঃ তারেক ও আব্দুল আলিম জানান, শামলাপুরের ১নং ওয়ার্ডের জহর আলীর পুত্র গোলাম শরীফের নেতৃত্বে একদল শিকারী রাতের আধারে বন্যপ্রাণী শিকার করে। শিকারের দিনে যদি বন্য প্রাণী শিকার করতে ব্যর্থ হয় ওই দিন এলাকার কোন এক বসতবাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে চলে যায় গুরুতর অভিযোগ।

এব্যাপারে হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা সুনীল কুমার দেব রায়ের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি একটি হাতি আহত অবস্থায় আছে বলে শুনেছি তবে এই আহত হাতিকে উদ্ধার করার অভিযান চলছে। কে বা কারা গুলি করেছে ক্ষতিয়ে দেখে শিকারীদের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

পাঠকের মতামত: